খাবার নষ্ট হবে এই কারনে অতিরিক্ত খাওয়ার সাইকোলজি
এই প্র্যাকটিসটা খুব কমন যে আপনি কোন একটা খাবার ভাল লাগতেছে না তাও খাচ্ছেন, ইভোল্যুশনারি বায়োলজিকাল পয়েন্ট অব ভিউ থেকে এই সাইকোলজিকে সবচেয়ে ভাল ব্যাখ্যা করা যায়
এই প্র্যাকটিসটা খুব কমন যে আপনি কোন একটা খাবার ভাল লাগতেছে না তাও খাচ্ছেন, দাওয়াতে গিয়ে এটা আপনাদের আগামী কয়েকদিন আরো বেশি হবে। ভাল লাগতেছে না, বা আপনার পেট ভরে গেছে কিংবা খাবারের স্বাদ ভালো না-কিন্তু যেহেতু সেটা আপনার সামনে আছে, আপনার প্লেটে আপনি নিয়েছেন বা কেউ দিছে, বা আপনি রেস্টুরেন্ট থেকে কিনছেন- তারমানে ওইটা খুব একটা ভাল না লাগলেও আপনি খাচ্ছেন।
এই প্র্যাকটিসটা খারাপ না ভাল সেটা আজকের আলোচনার বিষয় না। ( তবে প্র্যাকটিসটা খারাপ-এটা অবভিয়াস)
এর পেছনের সাইকোলজিটা একটু দেখার চেষ্টা করি। আমাদের ছোটবেলা থেকে বাপ-মা/অভিভাবকরা এমন ভাবে বড় করে যাতে কোনভাবে আমাদের ম্যালনিউট্রিশন না হয়। এটা তারা বাচ্চা পালনের এক নাম্বার দায়িত্ব হিসেবে মনে করে-এবং এই মনে করাটা ভুল না। সমস্ত প্রাণীরই বাচ্চা পালনের এক নাম্বার দায়িত্ব হিসেবে এটা মানে যে বাচ্চাকে কোনভাবে অপুষ্টিতে ফেলা যাবে না।
ইভোল্যুশনারি বায়োলজিকাল পয়েন্ট অব ভিউ থেকেও এটা গুরুত্বপূর্ণ। যেকোন জীবন্ত এনটিটির দুইটা কমন বায়োলজিক্যাল গোল হচ্ছে সারভাইভ করা ও স্প্রেড করা। এই স্প্রেড করার কাজ এর মধ্যে আছে রিপ্রডাকশন/সেক্স এবং তার মাধ্যমে উৎপন্ন জীবন্ত এনটিটির সারভাইভ করার ব্যবস্থা করা, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ নিশ্চিত করা, অন্যান্য ক্ষতিকর এলিমেন্ট থেকে রক্ষা করা। সবকিছুর মধ্যে পুষ্টির সরবরাহ নিশ্চত করা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এবং সব প্রাণীই এই কাজটা এত সিরিয়াসলি করে যে প্রায় সময়ই তাদের বিপদে পড়তে হয়। এমনকি কিছু প্রাণী আছে যাদের জন্মের পর খাদ্য হিসেবে জন্মদানকারী প্রাণী নিজেকে অফার করে- আফ্রিকান এক মাকড়শার বাচ্চারা জন্মের পর দলবলসহ তাদের মা’কে খেয়ে ফেলে (তথ্যসূত্র)। (এটা এক্সট্রিম উদাহরণ, প্রকৃতি এটাতে উৎসাহ দেয় না, কারন বায়োলজিক্যাল গোল পূরণ করার জন্য প্যারেন্টসদের লম্বা সময় ধরে বেঁচে থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যাতে অনেক বাচ্চা তারা জন্ম দিয়ে যেতে পারে।)
এই সন্তানের পুষ্টি নিশ্চিত করতে মানুষ স্বভাবতই খাদ্য সংগ্রহ করার পর সেটা যাতে কোনভাবে নষ্ট না হয় সে ব্যবস্থাও করতে চায়। এই চাওয়ার একটা অংশ হল- হিসেবে গোলমাল হওয়ার পর কোনদিন যদি বেশি খাদ্য সংগ্রহ হয়, এবং যেটা রেখে দিয়ে ভবিষ্যতে খাওয়া সম্ভব না, তাহলে মানুষ ওভার ইটিং করে। ওভারইটিংকে শরীর একটু কষ্ট হলেও ওয়েলকাম করে, কারন শরীর অতিরিক্ত খাবারকে ফ্যাট হিসেবে স্টোর করতে পারে, যেটা প্রতিকূল সময় ভেঙে সে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।
এই প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে এখনো টিকে আছে, পুষ্টিকর খাবার বেশি খাওয়াও যে সমস্যা সেটা শরীরকে কোনভাবেই বোঝানো যায় না।
কোন খাবার একবার প্রস্তুত হয়ে গেলে সেটা না খাওয়াকে কালচারালিও খারাপ ভাবে দেখা হয়, তুলনা করা হয় অনেকে না খেয়ে আছে, অনেক জায়গা মানুষ খাবার পাচ্ছে না, আর ‘তুমি খাবার সামনে পাইয়াও খাইলা না বা নষ্ট করলা।’ এটা কোন যৌক্তিক কথা না, কারন খাবারটা খেয়ে ফেললেও যারা খাবার পাচ্ছে না তাদের কোন উপকার হচ্ছে না। কিংবা বলা হয়, কৃষক এত কষ্ট করে এই শস্যটা উৎপাদন করছে, তুমি একটা চাল নষ্ট করলে তাদের অসম্মান হবে। কৃষককে অসম্মান করা হয় শস্য কম দামে কিনে, আপনি খাইলেন কি খাইলেন না- এটাতে তাদের কিছু যায় আসার কথা না।
যে ব্যাপারটা সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত, আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করছেন কিনা! কারন শরীরে আপনি কি গ্রহণ করছেন সে ব্যাপারে আপনার সব সময় সতর্ক থাকার কথা, আপনার গ্রহণ করা প্রতিটা জিনিস আপনার শরীরকে প্রসেস করতে হয়। অতিরিক্ত খাবার ওর জন্য একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। ফ্যাট হিসেবে খাবার সংরক্ষণ করতে গিয়ে সব অর্গানের যে ধকল যায় তাতে তৈরি হয় নানা রোগ-ব্যাধি।
খাবারের অপচয় দূর করার জন্য যে কাজটা করতে পারেন, সেটা হল খাবার কম তৈরি করা, নিজের প্লেটে সবসময় সামান্য খাবার নিয়ে শুরু করা। কিন্তু কোনক্রমে খাবার যদি বেশি নিয়ে ফেলেন এবং সেটা যদি অন্যকোনভাবে সরিয়ে রাখা বা সংরক্ষণ করতে না পারেন, খাবারটা নষ্ট যাতে নয় সেজন্য ‘খেয়ে ফেলাই একমাত্র কাজ’-এই ইভোলুশ্যনারি বায়াসড ডিসিশন নেয়া যাবে না।
খাবারের অপচয় দূর করার জন্য যে কাজটা করতে পারেন, সেটা হল খাবার কম তৈরি করা, নিজের প্লেটে সবসময় সামান্য খাবার নিয়ে শুরু করা।
kintu restaurant e jokhon jei poriman khabar deya hoy, seta jodi otirikto hoy, sekhtre tou kom khabar neya sombov hoy na, sekhan theke manush e guilty feel ta beshi hoy. sekhtre apnar mote koronio ki?